January 27, 2010

ভার্চুয়াল মেশিনঃ একসাথে একই সময়ে দুইটি অপারেটিং সিস্টেম চালান আপনার পিসিতে

ডুয়েল বুটিং এর সাথে আমাদের প্রায় সবারই পরিচয় আছে।একই পিসিতে দুই ড্রাইভে দুই অপারেটিং সিস্টেম,কম্পিউটার চালুর সময় ঠিক করে দিতে হয় কোনটি দিয়ে কোনটি দিয়ে পিসি রান করাবেন আপনি।কিন্তু এতেও অনেকে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না।কেননা আপনি হয়তো উইন্ডোজ সেভেন বা ভিসতা ব্যবহার করেন কিন্তু প্রোগ্রাম কম্পাটিবিলিটির কথা চিন্তা করে এক্সপিও রেখেছেন কম্পিউটারে,কিন্তু এক্সপি চালালে ইন্টারনেট নেই কিংবা এক্সপিতে নেই লেটেস্ট ড্রাইভার আপডেট যা কিনা সেভেনে পেতেন।মানে একটি অভাব পূরণ হলে আরেকটি অভাব তৈরি হয়ে যাচ্ছে নিজে থেকেই।লিনাক্স ডুয়েল বুটিং-এর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।অনেকে একসাথে ৩টি অপারেটিং সিস্টেমও ব্যবহার করেন সে প্রসংগে আর যাচ্ছি না।

এ ধরনের সমস্যায় আপনি একটা কথাই ভাবেন-ইশ!যদি দুইটা অপারেটিং সিস্টেমই একই সময়ে একই পিসিতে চালানো যেত!অনেক ভাল হতো! হ্যা পাঠক আপনার সেই স্বপ্ন কিন্তু এখন আর স্বপ্ন না।ঠিক এখন হবে না শব্দটা,আসলে অনেক আগে থেকেই এটি করা সম্ভব।কিন্তু অজ্ঞতার জন্য আমরা এই অতি সহজ কাজটা করতে পারিনি আজো।আজ আপনাদের সেই অজ্ঞতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে একসাথে দুই অপারেটিং সিস্টেম চালানোর নাড়ী-নক্ষত্র জানিয়ে দিব।

শুনতে কি একটু অস্বাভাবিক ঠেকছে?কেন বলুন তো?অপারেটিং সিস্টেম আসলে কি?একটা সফটওয়ার বা প্রোগ্রাম তাই না?তাহলে একটা অপারেটিং সিস্টেমের ভেতরতো আরেকটা চালানোই যেতে পারে।খুব সহজ তাই না?সহজ কিংবা কঠিন বলতে পারব না,শুধু এটাই বলব দুইটা সিস্টেম একসাথে চালাবার সহজতম উপায়টাই এবার আপনাদের শেখাব আমি।অভিজ্ঞরা এতোক্ষণে নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন আমি কিসের কথা বলছি,হ্যা পাঠক-ভার্চুয়াল মেশিনের কথাই বলা হচ্ছে। সোজা বাংলায় একটাকে প্রধান অপারেটিং সিস্টেম ধরে সেটার ভেতর এপ্লিকেশন হিসেবে আরেকটা অপারেটিং সিস্টেম গেস্ট হিসেবে চালানোটাই ভার্চুয়াল মেশিনের মূল মন্ত্র।

আর নিঃসন্দেহে পিসিতে ভার্চুয়াল মেশিন চালাবার জন্য ভিএমওয়ার প্লেয়ার হচ্ছে সবচেয়ে সহজ এবং অন্যতম কার্যকর পন্থা।উইন্ডোজের যেকোন ভার্সন,লিনাক্স কিংবা ক্রোম- ভিএমওয়ার প্লেয়ার-এর কম্পাটিবিলিটি নিয়ে ভাবতে হবে না আপনাকে।২০০টির মতো অপারেটিং সাপোর্ট করে এই ভিএমওয়ার প্লেয়ার ।আর উইন্ডোজ সেভেনের এক্সপি মোডের চেয়েও এখানে আপনি অনেক ভালভাবে কাজ করতে পারবেন নিঃসন্দেহে এই কথা বলা যায়।এখন কথা না বাড়িয়ে কাজ শুরু করে দেই।আমি উইন্ডোজ সেভেনে কিভাবে উইন্ডোজ এক্সপি গেস্ট হিসেবে ইন্সটল করবেন তার উপায় বলব এখানে।অন্য যেকোন অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।আশা করি বুঝতে কোন সমস্যা হবে না।

>> প্রথমেই দেখতে হবে আপনার পিসি ভার্চুয়াল পিসি রান করানোর যোগ্যতা রাখে কিনা।আমি মূলত পিসির কনফিগারেশনের কথা বলছি।কিভাবে বুঝবেন?ধরছি আপনার মূল অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৭,আর আপনি চাচ্ছেন গেস্ট হিসেবে এক্সপি ইন্সটল করতে।এখন উইন্ডোজ এক্সপির আর সেভেন আলাদা আলাদা কনফিগারেশন যোগ করুন।বিশেষত র‌্যাম,২ গিগাবাইট র‌্যাম ছাড়া ভার্চুয়াল মেশিনের আশা করবেন না।কেননা এই সিস্টেমে পুরো প্রেশারটাই যাবে র‌্যামের উপর দিয়ে।আর প্রসেসরও ন্যূনতম কোর ২ ডুয়ো হওয়া উচিত।আর ভিএমওয়ার প্লেয়ার আপনার সি ড্রাইভে আলাদা ১৫০ মেগাবাইট স্পেস নিবে।

>> প্রথমেই ভিএমওয়ার প্লেয়ারটি ডাউনলোড করে নিন।এর সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে ৩.০.০ আর সাইজ ৯০ মেগাবাইটের মতো।
ডাউনলোড
>> ইন্সটলার ফাইলটি রান করান।ইন্সটলেশন ঠিকভাবে শুরু হলে এমন উইন্ডো দেখবেন।


>> এরপর নেক্সেটে গিয়ে কোথায় ইন্সটল করবেন তা দেখিয়ে দিন।নেক্সেটে গেলে ইন্সটলেশন শুরু হবে।অপেক্ষা করুন।


>> সফলভাবে ইন্সটলেশন শেষ হলে ভিএমওয়ার প্লেয়ার রিস্টার্ট চাইবে।পিসি রিস্টার্ট করুন।


>> রিস্টার্ট হবার ডেস্কটপেই ভিএমওয়ার প্লেয়ার-এর আইকনটি দেখতে পাবেন।এতে ক্লিক করে প্লেয়ারটি চালু করুন।

>> লাইসেন্স এগ্রিমেন্ট ইয়েস করুন।

>> এবারে ভিএমওয়ার প্লেয়ার-এর হোমপেজ দেখতে পাবেন।বামে রয়েছে ইন্সটল করা ভার্চুয়াল মেশিনের লিস্ট(যা এই মুহুর্তে ফাঁকা) আর ডানে বিভিন্ন অপশন।আর উপরেও মেনুবারে যাবতীয় অপশন ও হেল্প ফাইল আপনি পাবেন।


>> আমরা এখন নতুন ভার্চুয়াল মেশিন তৈরি করব।এর আগে হার্ডড্রাইভের একটি ড্রাইভ পুরো ফাঁকা করে এনটিএফএস ফরম্যাটে নিয়ে নিন।সেটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক ও নিরাপদ হবে।Create a New Virtual Machine-এ ক্লিক করুন।

>> এবারে ইন্সটলার ফাইলটি দেখিয়ে দিন।আপনি চাইলে অপারেটিং সিস্টেমের সিডি/বা ডিভিডি ড্রাইভে ঢুকিয়ে সেখান থেকে অথবা সরাসরি অপারেটিং সিস্টেমের আইএসও ফাইল দেখিয়ে সেখান থেকেও নতুন গেস্ট অপারেটিং সিস্টেম ইন্সতল করে নিতে পারবেন।পদ্ধতি নির্বাচন করে নেক্সটে যান।এই অবস্থাতেই ভিএমওয়ার প্লেয়ার আপনার গেস্ট অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলটি ডিটেক্ট করে নাম নাম


>> উইন্ডোজের সিডি কী,উইজারনেম ও পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান।


>> এবারে ভার্চুয়াল মেশিন(অপারেটিং সিস্টেম)-এর নাম ও তা কোথায় ইন্সটল করবেন তা দেখিয়ে দিন।

>> ভিএমওয়ার প্লেয়ার জানতে চাইবে ভার্চুয়াল মেশিনের জয়ন আপনি সর্বোচ্চ কতটুকু হার্ডডিস্ক স্পেস দিবেন সেটা।কাজের ব্যপ্তী এবং আপনার হার্ডডিস্কের অবস্থা বুঝে এটি ঠিক করুন।উইন্ডোজ এক্সপি গেস্ট হলে ৫ গিগাবাইট যেমন যথেষ্ঠ আবার ভিসতার জন্য কিন্তু ১৫ গিগাবাইট লাগবে।আবার আপনি যদি গেস্ট সিস্টেমে বড় কোন প্রোগ্রাম চালাতে চান সেটির স্পেস-এর কথাও মাথায় রাখুন।


>> এবারে ফাইনাল স্টেজ।আপনার ভার্চুয়াল মেশিনের যাবতীয় তথ্য এখন দেখতে পাবেন।আর এতে কিকি ডিভাইস থাকছে তাও দেখতে পাবেন।সাধারনত ডিফল্টভাবে সাউন্ট,ল্যান,সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ সবই এখানে অন্তর্ভুক্ত হবে।



>> এখানে Customize Hardware-এ ক্লিক করুন।প্রথমেই দেখবেন র‌্যাম।এখানে ভিএমওয়ার প্লেয়ারই আপনাকে গেস্ট-এর মিনিমাম ডিমান্ড,রিকমান্ডেড ডিমান্ড এবং আপনার সিস্টেমের টোটাল র‌্যামের পরিমান জানাবে।বামে হার্ডওয়ার লিস্টে ক্লিক করে প্রতিটির সেটিং এবং তা প্রতিবারই ভার্চুয়াল মেশিনের সাথে চালু হবে কিনা বা কিভাবে কাজ করবে তা ঠিক করে দিন।মনে রাখবেন ভার্চুয়াল মেশিনে সাচ্ছন্দের সাথে কাজ করার জন্য আপনার পিসির হার্ডওয়ার বুঝে এইসব অপশন ঠিক করাটা খুবই জরুরি।কাজ শেষ করে Finish-এ ক্লিক করুন।


>> ভিএমওয়ার প্লেয়ার-এর মেইন মেনুতে ফিরে আসবেন এখন আপনি।Play virtual machine-এ ক্লিক করুন।


>> উইন্ডোজ এক্সপি ইন্সটলেশন শুরু হবে।শুধু মাথায় রাখু সাধারনভাবে যেভাবে যতক্ষন ধরে এক্সপি ইন্সটল হয় এখানেও ভিএমওয়ার প্লেয়ার-এর ভেতর এখন ঠিক তাই হবে।সুতরাং ধৈর্য্য করে কাজ করে যান।ফরম্যাট,কপি,লোডিং,সেটআপ সবই দেখতে পাবেন।


>> কাজ হলে আপনি চাইলে ভিএমওয়ার প্লেয়ার দিয়ে অথবা যেখানে গেস্ট অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করেছেন সেখানে গিয়েও ভার্চুয়াল মেশিন রান করাতে পারেন।ব্যস আর কি!এবার একসাথে উপভোগ করুন দুইটি অপারেটিং সিস্টেম।


আশা করছি সবারই কাজে আসবে লেখাটি।যেকোন সমস্যা হলে এখানে তা আমাকে জানান অথবা মেইল করুন এই ঠিকানায়ঃ shuknopata@yahoo.com
http://techtoday4u.blogspot.com/

January 22, 2010

ফটোফিচারঃ বিশ্বের সেরা দশ রোলার কোষ্টার

১৮৮৫ সালে আমেরিকায় প্রথম রোলার কোষ্টার নির্মানের পর থেকেই থীম পার্কের যেকোন রাইডের মধ্যে এটি যুগে যুগে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেই থেকেছে।আমাদের দেশে রোলার কোষ্টার বলতে এখনো এক আশুলিয়াস্থ ফ্যান্টাসী কিংডমের রাইডটাকেই আমরা বুঝি।বিদেশে কিন্তু অনেক আগে থেকেই রোলার কোষ্টার নির্মাণ প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর।দেখ-বিদেশের বিভিন্ন পার্কের হাইটেক রোলার কোষ্টার পর্যটকদের আগ্রহের আরেক খোরাক।তাক লাগানো এমন ১০টি সেরা রোলার কোষ্টার নিয়েই এই ফটোফিচার।
১.  কিংডা কা 
পার্কঃ সিক্স ফ্ল্যাগ গ্রেট এডভেঞ্চার
অবস্থানঃ জ্যাকসন,নিউ জার্সি,আমেরিকা
নির্মাণ সালঃ ২০০৫
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ৯৫০ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ৪৫৬ ফুট/১৩৯ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ২০৪ কিলোমিটার/ঘন্টা

২.  স্টীল ড্রাগন ২০০০
পার্কঃ নাগাশিমা স্পা ল্যান্ড এমিউজমেন্ট পার্ক
অবস্থানঃ নাগাশিমা,জাপান
নির্মাণ সালঃ ২০০০
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ২৪৭৯ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ৩১৮ ফুট/৯৭ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৫৩ কিলোমিটার/ঘন্টা

৩. মিলেনিয়াম ফোর্স 
পার্কঃ সিডার পয়েন্ট এমিউজমেন্ট পার্ক
অবস্থানঃ স্যান্ডাস্কি,ওহাইয়ো
নির্মাণ সালঃ ২০০০
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ২০১০ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ৩১০ ফুট/৯৪ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৫০ কিলোমিটার/ঘন্টা

৪. টপ থ্রিল ড্রাগস্টার
পার্কঃ সিডার পয়েন্ট এমিউজমেন্ট পার্ক
অবস্থানঃ স্যান্ডাস্কি,ওহাইয়ো
নির্মাণ সালঃ ২০০৩
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ৮৫০ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ৪২০ ফুট/১৩০ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৯০ কিলোমিটার/ঘন্টা

৫. ডডোপা 

পার্কঃ ফুজি কিউ হাইল্যান্ড
অবস্থানঃ ইয়ামানশি,জাপান
নির্মাণ সালঃ ২০০১
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ১১৮৯ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ১৭০ ফুট/৫২ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৭২ কিলোমিটার/ঘন্টা

৬. থান্ডার ডলফিন

পার্কঃ টোকিও ডোম চিটি এট্রাকশন
অবস্থানঃ টোকিও,জাপান
নির্মাণ সালঃ ২০০৩
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ১১০০ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ২৬২ ফুট/৮০ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৩০ কিলোমিটার/ঘন্টা

৭. গোলিয়াথ
পার্কঃ সিক্স ফ্লাগ মাজিক মাউন্টেন
অবস্থানঃ ভ্যালেন্সিয়া,ক্যালিফোর্ণিয়া
নির্মাণ সালঃ ২০০০
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ১৪০০ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ২৩৫ ফুট/৭২ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৩৭ কিলোমিটার/ঘন্টা

৮. ড্রাগন খান 
পার্কঃ পোর্টএডভেঞ্চার
অবস্থানঃ ক্যাটালানিয়া,স্পেন
নির্মাণ সালঃ ১৯৯৫
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ১২৬৯ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ১৪৮ ফুট/৪৫ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১০৮ কিলোমিটার/ঘন্টা

৯. টাইটান 
পার্কঃ সিক্স ফ্লাগস ওভের টেক্সাস
অবস্থানঃ অরিংটন,টেক্সাস
নির্মাণ সালঃ ২০০১
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ১৬১৯ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ২৪৫ ফুট/৭৫ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ১৩৭ কিলোমিটার/ঘন্টা

১০. নেমেসিস
পার্কঃ এলটন্ টাওয়ার
অবস্থানঃ ইংল্যান্ড
নির্মাণ সালঃ ১৯৯৪
ট্র্যাকের দৈর্ঘ্যঃ ৭১৬ মিটার
সর্বোচ্চ উচ্চতাঃ ৪৩ ফুট/১৩ মিটার
সর্বোচ্চ গতিবেগঃ ৮০ কিলোমিটার/ঘন্টা
http://techtoday4u.blogspot.com/

উইন্ডোজে তৈরি করে রাখুন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট


বিভিন্ন কারনে অকারনে উইন্ডোজে অনেক রকম সমস্যাই আপনার হতে পারে।এর কারন হিসেবে রেজিস্ট্রি ডাটা পরিবর্তন,সফটওয়ার ইন্সটলেশন বা আনইন্সটলেশনের সমস্যা বা অনাকাংখিত শাটডাউন অনেক কিছুকেই বলা যায়।এখন কথা হচ্ছে সমাধান কি? যারা নতুন কম্পিউটার ব্যাবহার করে থাকেন তারা এমন পরিস্থিতিতে না পড়লে না বুঝেই নতুন করে উইন্ডোজ সেটাপ দিয়ে সমস্যা আরো বারিয়ে তোলেন,মানে দরকারি ফাইল অনেকসময় মুছে যাবার ঝুকি থাকেন এতে।এ রকম পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সহজ সমাধান হতে পারে উইডোজ সিস্টেম রিস্টোর। সিস্টেম রিস্টোর মূলত আপনার উইন্ডোজের বিভিন্ন সেটিংস এবং সফটওয়ার,ড্রাইভার,সিস্টেম ডাটার এক সংগ্রহশালা।এগুলার কোন একটিতে সমস্যা হলেও আপনার উইন্ডোজ একেজো হয়ে যেতে পারে।তাই আর দেরি না করে এখনি তৈরি করেন নিন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট যাকিনা পরবর্তীতে সিস্টেমের সমস্যায় আপনি কাজে লাগাতে পারবেন।

>> সিস্টেম রিস্টোর চালু করতে Start Menu>Programs>Accessories>System Tools>System Restore থেকে সিলেক্ট করুন।অথবা মাই কমিপুটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান।সেখান থেকে সিস্টেম প্রোটেকশনে ক্লিক করুন।

>> একদম নিচে Create বাটনে ক্লিক করুন।

>> একটি নাম দিয়ে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টটি তৈরি করে নিন।এক্ষেত্রে দিন,তারিখ,সময় দিয়ে চাইলে আপনি নাম দিতে পারেন।


ব্যস তৈরির কাজ এখানেই শেষ।যেকোন নতুন হার্ডওয়ার সিস্টেমে লাগানোর আগে বা বড় কোন সফটওয়ার বা গেম ইন্সটলেশনের আগে আপনি এই কাজটি করে নিন।কেননা এসব কাজে কোন সমস্যা হলে সিটেম রিস্টোরই আপনাকে পরে বাচাবে।
এবারে দেখে নিন কিভাবে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট দিয়ে পিসিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হয় সেই উপায়।
>> শুরুতেই সিস্টেম রিস্টোর ওপেন করুন।
>> System Restore বাটনে ক্লিক করুন।
>> সিস্টেম রিস্টোর উইন্ডো চালু হবে।নেক্সটে যান।
>> সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টগুলার একটি তালিকা দেখতে পাবেন।খেয়াল করলেই এটি তৈরির সময়,এবং ঐ সময়ে কি কাজ করা হয়েছিল তা দেখতে পাবেন।

>> নিচে Scan for affected programs এ ক্লিক করলে এই রিস্টোর পয়েন্ট এক্টিভ করলে সিস্টেমে বর্তমান অবস্থা থেকে কি কি পরিবর্তন হবে বা কোন কোন এপ্লিকেশন,ডাটা মুছে যাবে বা পুরাতন কোনটা ফিরে আসবে তার তালিকা দেখতে পাবেন।একটা কথা মনে রাখবেন,সিস্টেম রিস্টোর শুধুমাত্র এপ্লিকেশনের উপর প্রভাব ফেলে এপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি কোন ফাইলের উপর প্রভাব ফেলে না।



>> আর Show more restore points এ ক্লিক করলে যদি আরো কোন পুরাতন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট থেকে থাকে তার তালিকা দেখতে পাবেন।
>> এরপর Next এ ক্লিক Finish  প্রেস করলেই কাজ শুরু হবে।

মনে রাখবেন,এই সময়ে পিসি একবার রিস্টার্ট নিবেন।রিস্টার্ট নেবার পরো আরো কিছুক্ষন সমস্যা লাগবে কাজ শেষ হতে।পুরোটা সময়ে যদি কোনভাবে বিদ্যুতজনিত কোন কারনে পিসি বন্ধ হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন।সতর্ক থাকুন এ ব্যাপারে।
আরেকটি কথা,বুঝতেই পারছেন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরির সময় উইন্ডোজ কিছু ডাটা তার মেমোরিতে সেভ করে রাখে,সুতরাং যখন-তখন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করবেন না,তাতে পিসি স্লো হয়ে যেতে পারে।আর আপনি চাইলে উইন্ডোজকে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট-এর জন্য নির্ধারিত স্পেস বরাদ্দ করে দিতে পারেন।এজন্য-
>> সিস্টেম রিস্টোর এ যেয়ে Configure-এ ক্লিক করুন Disk Space Usage ঠিক করে দিন। ছবি-৫৪
>> আর সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট কি কি ডাটা সেভ রাখবে তা ঠিক করে দিতে পারবেন Restore Settings থেকে।আর এবারে নিশ্চয়ই কিভাবে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট অপশনটি বন্ধ করে রাখতে পারবেন তাও খুজে পেয়েছেন?৩ নাম্বার সেটিংসটির কথাই বলছি।

>> আর সর্বশেষ সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টটি বাদ দিয়ে আগের সব মুছে ফেলতে চাইলে নিচের Delete বাটনে প্রেস করুন।

আশা করি যারা কম্পিউটার দুনিয়ায় হাটি হাটি পা পা করে ঢুকেছেন তাদের সবারই কাজে আসবে লিখাটি।
http://techtoday4u.blogspot.com/

এবারে বাজারে আসছে উভচর গাড়ী, জল আর স্থল দুটোই এখন আপনার নাগালে

জেমস বন্ড মুভি কিংবা নাইট রাইডার টিভি সিরিজে গাড়ীর পানিতে চলাটা আমরা অনেকেই দেখেছি আর মনে মনে ভেবেছি ইশ এমনটা যদি সত্যি সত্যি হতো!কিংবা বিভিন্ন সময়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেরীঘাটে অসহনীয় যানজটে পড়ে কত মানুষ যে গাড়ী নিয়ে পানিতেই নেমে পড়তে চান তার কি ইয়াত্তা আছে?এইবার হয়তো সেইটাই বাস্তবে রুপ পেতে যাচ্ছে।জলে-স্থলে দুই জায়গাতেই চলতে সক্ষম বিশ্বের প্রথম গাড়ী হিসেবে এই মর্যাদা পেয়েছে ওয়াটারকার পাইথন নামের উভচর গাড়ীটি।করভেট ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই গাড়ীর ডিজাইনে রয়েছে করভেট আর ডজ ভাইপারের চমতকার এক সমন্বয়।শুধু যে উভচর তাই না,সুপারকার হবার অনেক যোগ্যতাই রয়েছে এই গাড়ীতে।ভূমিতে ৪.৫ সেকেন্ডে ৬০ মাইল গতি তুলতে সক্ষম এটি।আর পানিতেও ডমিনেটর জেট প্রোপালশান সিস্টেম ব্যবহার করে ঘন্টায় ৬০ মাইল বেগে চলতে সক্ষম এটি।চিন্তা করে দেখুন এইবার!

আর ট্রান্সফর্মেশনের কোনো ব্যাপারই নেই গাড়ীতে।ভূমি থেকে ঝাপ দিয়ে পানিতে নেমেই দূর্দান্ত গতিতে ছুটে চলা শুরু করা সম্ভব এই গাড়ী নিয়ে।৩৮০০ পাউন্ড ভরের এই গাড়ীর চেসিস তৈরি লাইটওয়েট স্টেইনলেস স্টীল দিয়ে।দেড় কোটি টাকার এই গাড়ী ২০১২ সাল থেকে বাজারে পাওয়া যাবে।আর আপনি চাইলে নিজে অর্ডার দিয়ে গাড়ীর সবকিছুকেই মনমতো করে বানিয়ে নিতে পারবেন।যেমন একটা উদাহরন দেই।রং নির্বাচনের জন্য ৬০০০০ বিকল্প দেয়া হয়েছে আপনাকে।আর গাড়ীর প্রতিটা উপকরণ বিশ্বের সেরা সব উপকরন দিয়েই তৈরি,এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

আর ছয় সাতজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে সহজেই চড়তে পারবেন এই গাড়ীতে।পারবেন পানিতে থাকা অবস্থাতেও গাড়ীর দরজা খুলতে।আর কি চাই?এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
http://techtoday4u.blogspot.com/

গেম রিভিউঃ নীড ফর স্পীড শিফট


সেই মোস্ট ওয়ান্টেড এর পর থেকে নীড ফর স্পীডের কার্বন,প্রোস্ট্রিট কিংবা আন্ডারকভার কোনটিই পারেনি রেসিং ভক্তদের চাহিদা পূরণ করতে।না রেসিং না একশন কোন ধরন দিয়েই সফল হতে পারছিল না ইএ স্পোর্টস।এবার তাই নতুন উদ্যোগ।অরিজিনাল রেসিং এক্সপেরিয়েন্স!!দুই সংখ্যা আগেই শিফটের প্রিভিউ লিখেছিলাম,সেখানে বেশ কিছু কথা বলা হয়ে গেছে।আজ তাই এটা লিখতে বসা যে আসলে কতটা কি করতে পেরেছে নির্মাতারা।

আপনি কি রেসিং খেলাগুলা টিভিতে দেখেন?ফর্মুলা ওয়ান,মটোজিপি,কার র‌্যালি যদি আপনার টিভিতে দেখা খেলাগুলার তালিকায় পড়ে থাকে তাহলে আপনার খুশীতে লাফ দেবার মতো যথেষ্ঠ কারন আছে।কেননা রেসিং গেম দুনিয়ায় এই প্রথমবারের মতো কোন গেমস আপনাকে দিতে যাচ্ছে সত্যিকারের রেসিং উত্তেজনা!সত্যিকারের রেস ট্র্যাকে ৩৫০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো,গতির উদ্দামতা,হাই স্পীড ওভারটেকিং এর চমতকার স্বাদ সবমিলিয়ে আপনি এমন কিছু পাবেন যা আগে ছিল কল্পনাতীত।
এসব কথা মানে কি যারা বুঝছেন না তাদের বলছি-আমরা অনেক রেসিং গেমসই খেলি।তার অনেকগুলাতেই আবার একশন থাকে।কিন্তু গেমারদের আলাদা আনন্দ দেবার জন্য নির্মাতারা বাস্তবতা থেকে অনেক সময়ই দূরে সরে আসেন।গাড়ি নিয়ে আপনি এমন অনেক কসরত দেখান গেমে যা বাস্তব জীবনে আসলে অসম্ভব।আবার ওভারটেকিং,হাই স্পীডে গাড়ি চালানো,একসিডেন্ট করলে পল্টি খেয়ে গাড়ির আবার ঠিক হয়ে যাওয়া-এই ঘটনাগুলা বাস্তবতা থেকে কিন্তু অনেকটাই দূরে।তাই এমন গেমসের নাম কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না যেটাতে আপনি টিভির পর্দায় রেসিংকে যেভাবে দেখেন গেমসেও ঠিক সেভাবেই ফুটে উঠেছে।

এই চিন্তা থেকেই নীড ফর স্পীড শিফটের জন্ম।গেমসের টাইটেলই হচ্ছে-শিফট ইনটু হাই গীয়ার।রেসিং গেম খেলার সময়কার সত্যিকারের দুর্বার উত্তেজনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই গেমসের উদ্দেশ্য।এবারের গেমসই প্রথমবারের মতো আপনি পেতে যাচ্ছেন হাই পারফরম্যান্স রেসিং কার নিয়ে রেস ট্র্যাকের উপর ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে যাবার অসাধারণ এক অনুভূতি ,সংগে রয়েছে ককপিট ভিউ,যা আপনাকে দিবে গাড়ির ভেতর থেকে রেসের মাঝে ডুবে যাবার অনুভূতি।আগেই বলে নিই পুলিশ টুলিশ জাতীয় কিছু এখানে আশা করবেন না।রাস্তার মধ্যে গাড়ি নিয়ে দৌড়ঝাপের কথাও ভুলে যান।একদমই অরিজিনাল ট্র্যাক হোক না সেটা রেস ট্র্যাক কিংবা স্ট্রীট ট্র্যাকই হবে আপনার খেলার স্থান।গেমেরই ক্যারিয়ারের শুরুতেই আপনাকে বিএমডব্লিউ এম৩ নিয়ে রেস ট্র্যাকে নেমে পড়তে হবে আপনার যোগ্যতা প্রমাণের জন্য।এখানে পজিশনের ভিত্তিতে আপনি টাকা পাবেন এবং তা দিয়ে নতুন গাড়ি কিনে ক্যারিয়ার শুরু করবেন।আর রেসে আপনার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে গাড়ির কন্ট্রোল ঠিক করে দেয়া হবে।নতুন রেসারদের জন্য ব্রেক আর স্টিয়ারিং দুই ক্ষেত্রেই কম্পিউটার আপনাকে সাহায্য করবে।খেলতে খলতে আপনার ড্রাইভিং লেভেল যত বাড়বে এই ধরনের অটোমেটিক সাহায্য ততোই কমবে।সুতরাং আপনাকে অতটা চিন্টা না করলেও চলবে।

প্রতিটি ইভেন্টের শুরুতেই আপনাকে ইভেন্টটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।আর ইভেন্ট লোড হবার সময় পর্দায় সেই ইভেন্টের আইন-কানুন দেখতে পাবেন।গেমের মেনু যথেষ্ঠ দ্রুত কাজ করে।সুতরাং স্বাচ্ছন্দের সাথে আপনি বিভিন্ন অপশনে যেতে পারবেন।তবে একটা কথা বলে রাখি।গ্রাফিক্স সংক্রান্ত কোন অপশন পরিবর্তন করবেন না।গেমস নিজে থেকেই আপনার পিসির কনফিগারেশন বুঝে তা ঠিক করে নিবে।এতে কোন পরিবর্তন হলে পরের গেম ঠিকমতো রান নাও করতে পারে।
রেসিং এ ফিরে আসি।ক্যারিয়ারের শুরুতেই আপনাকে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দীতা পূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আগাতে হবে।প্রতিটা খেলার জন্য আপনাকে টাকা,পয়েন্ট এবং স্টার মেডেল দেয়া হবে।টাকা আপনার লাগবেই নতুন গাড়ি কিনতে বা আপগ্রেড করতে।স্টারের মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন গেম লেভেল আনলক করতে পারবেন।আর পয়েন্ট আপনার ড্রাইভিং লেভেলকে বাড়াবে।একটা রেস খেলার সময় সবগুলাই খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।রেসে আপনার পজিশন ১ হলে ৩ স্টার,২ হলে ২ স্টার আর ৩ হলে ১ স্টার পাবেন আপনি।আর আপনার চালানোর স্টাইল,আপনি কি সতর্ক না আগ্রাসী এর উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট পাবেন আপনি।নির্দিষ্ট পয়েন্ট জমলে আবার আপনি স্টার অর্জন করবেন।আর প্রতি রেসেই একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরীতে দক্ষতা প্রদর্শনের উপর ভিত্তি করে স্টার পাবেন আপনি।মোট ৬টি স্টার প্রতিটি রেসে।
ক্যারিয়ারে লেভেল আছে ৫টি।প্রথমে টিয়ার ১ থেকে ৪।তারপর আসবে এনএফএস ওয়ার্ল্ড ট্যুর।এখানে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব রেসারদের সাথে কঠিন সব ট্র্যাকে উত্তেজনায় ভরা একের পর এক খেলায় নামতে হবে আপনাকে।

গেমের গ্রাফিক্স আসলে কিছু বলার অবকাশ রাখে না।এযাবতকালের শ্রেষ্ঠ গ্রাফিক্সই আপনি দেখতে পাবেন এই নিশ্চয়তা আপনাকে দিতেই পারি আমি।আর গেমের সাউন্ড আপনাকে মুগ্ধ করবেই।স্পীড,ট্র্যাক,গাড়ি সবকিছু উপর নির্ভর করে নিয়ত পরিবর্তিত সাউন্ড ইফেক্ট আপনার ভালো লাগবেই।
সবমিলিয়ে সমালোচকরা এটিকে ইতোমধ্যেই এনএফএস সিরিজের সেরা গেমস-এর মুকুট পড়াতে দ্বিধা করছেন না।আমারো তাদের সাথে খুব একটা দ্বিমত নেই।এবারে আপনি আপনার মতামত জানাতে তৈরি তো?
পাবলিশারঃ ইএ স্পোর্টস
ডেভেলপারঃ স্লাইটলি ম্যাড স্টুডিও
ক্যাটাগরিঃ রেসিং
রিলিজ ডেটঃ ১৫.০৯.০৯
অন্য ভার্সনঃ এক্সবক্স,প্লে স্টেশন থ্রি,পিএসপি,আইফোন
গেম রেটিং
প্রেজেন্টেশনঃ ৮.৫
গ্রাফিক্সঃ ৯.০
সাউন্ডঃ ৯.৫
গেমপ্লেঃ ৯.০
ওভারঅলঃ ৯.০
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
প্রসেসরঃ কোর ২ ডুও ২.৬ গিগাহার্জ
র‌্যামঃ ১ গিগাবাইট
গ্রাফিক্স কার্ডঃ ২৫৬ মেগাবাইট
অপারেটিং সিস্টেমঃ উইন্ডোজ এক্সপি/ভিসতা/সেভেন
ডিভিডি রম ড্রাইভ
ডাইরেক্ট এক্স ৯.০
http://techtoday4u.blogspot.com/

আমার কিছু কথা আমার ভাবনা

ইন্টারনেট,ব্লগিং,ওয়েবসাইট নিয়ে আছি অনেকদিন ধরেই।আর কম্পিউটার/টেকনোলজি নিয়ে লিখালিখির সাথে জড়িত সেই ২০০০ সাল থেকেই।অনেক ছোটো ছিলাম তখন।ক্লাস সিক্স কি সেভেন পড়ি।পড়া ফাঁকি দিয়ে সেই যে কম্পিউটার সম্পর্কে জানার ও তা সবাইকে জানাবার প্রবল আগ্রহ তারই ফলশ্রুতিতে এই লাইনে আসা।রেজাল্ট খারাপ হয়েছে,বকাও কম যায়নি আমার উপর দিয়ে কিন্তু আমি যা তাইই!!(অনেকেই যা-তা বলে,ব্যাপার না!)তারপর জুন ২০০২ এ এসে টেকনোলজি টুডের সাথে পরিচয়।ধরা পত্রিকার প্রথম ক্রেতা আমি।কেননা তখন এর অফিস ছিল সেগুনবাগিচা।যেদিন পত্রিকার ১ম টেস্ট ইস্যু বের হলো সেদিনই কিছুক্ষণের মধ্যে আমি মৌচাক থেকে কিনি।কিনে এনে পড়তে বসে মুগ্ধতা,বিস্ময় সেখান থেকে ফোন।সরাসরি সম্পাদক ভাইয়া ফোন ধরলেন।সেইযে পরের সংখ্যা থেকে এই পত্রিকার সাথে সম্পর্ক তা আজো আছে।
ব্লগিং আর ওয়েব নিয়ে আছি অনেকদিন ধরেই।আছে টেকনোলজি টুডের নিজের সাইট ও ব্লগ।আর আমার সবই আবার ইংরেজীতে।অনেকদিন ধরেই চাচ্ছি বাংলায় কিছু একটা করার।ভেবে দেখলাম যে আমার হাতেই তো অনেক কিছু আছে।পত্রিকার এতো বছরের কতো শতো লিখা।এগুলা দিয়েই না হয় শুরু করি?আজ শুরু করেই ফেললাম।দেখি না সামনে কি হয়?আপনাদের যদি এতটুকু কাজে আসে কোন লেখা তাহলেই আমার এই কষ্টের স্বার্থকতা।
http://techtoday4u.blogspot.com/