এবারে নতুন গেমের জগৎ ছেড়ে একটু পুরাতনের জগতে ঢু মারা যাক কি বলেন ? যারা জনপ্রিয় এ্যাডভেঞ্চার গেমগুলো খেলেছেন তারা হয়তো The Longest Journey গেমের নাম শুনে থাকবেন। নরওয়েজিয়ান গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফানকম এর তৈরী এটি একটি পয়েন্ট এ্যান্ড ক্লিক ধাঁচের এ্যাডভেঞ্চার গেম।
১৯৯৯ সালে রিলিজ পাওয়া The Longest Journey গেমটি প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল শুধুমাত্র এর ব্রিভ্রান্তিমূল এবং সেই সাথে জটিল কাহিনী, হাই প্রোডাকশন ভ্যালু এবং এর জটিল জটিল ধাঁ ধাঁ গুলোর জন্য। এই গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে আরকেডিয়া এর সমান্তরাল মহাবিশ্বকে ঘিরে। আর এই আরকেডিয়া হচ্ছে যাদুবিদ্যা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলিত রূপের একটি বিশ্ব। অর্থাৎ, লৌকিক আর অলৌকিকের সংমিশ্রন রয়েছে এই গেমে।
১৮ বছরের তরুণী এপ্রিল রায়ান একজন আর্টের ছাত্রী। স্টার্কে তার বসবাস। একসময় রায়ান বুঝতে পারে এই দুই জগতের সীমারেখা ক্রমশ চোট হয়ে আসছে এবং তারপর সে জানতে পারে সে একজনশিফটার অর্থাৎ এই দুই জগতের বিচরণ করার ক্ষমতা তার মাঝে রয়েছে। ঝাঁপিয়ে পড়ে রায়ান। এই দুই জগতের ভারসাম্য রক্ষার জন্য শুরু হয় তার দুঃসাহসিক অভিযান। আর ইে অভিযানের মধ্য দিয়ে রায়ান উপলব্ধি করতে থাকে ভিন্ন মাত্রার দুই জগৎ !
গেমের গ্রাফিক্স ও সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ উন্নত মানের ( অন্ত:ত সেই সময়কার গেমের তুলনায়)। গেমের বিভিন্ন ধাঁচরে পাজল বা ধাঁধাঁ গেমারকে মুগ্ধ এবং সেই সাথে হতবুদ্ধি দুইই করতে সক্ষম। যারা এ্যাডভেঞ্চার গেম খেলতে ভালোবাসেন তারা এই গেমটি খেলে দেখতে পারেন।
No comments:
Post a Comment